সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী ব্যুরোঃর দিকে উপজেলার সেলামপুর গ্রামে। এঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।অভিযোগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেলামপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম (৩২) চা খেয়ে মামুন মেম্বারের সাথে রেশন কার্ড বিতরণ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। পরে প্রকৃতির ডাকে এনামুলের বাড়ির পশ্চিম পাশে যান সাদিকুল। এসময় তাকে একা পেয়ে একই গ্রামের আজাদ (৪০) ও তার পুত্র মুরাদ (২৫) এবং আলহাজুল (১৮) ছাড়াও অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসি লাঠি সোডা ও ধাঁরালে হাসুয়া নিয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়। এহেন পরিস্থিতিতে সাদিকুলের কোমরে ও পকেটে ৬১ হাজার ৫৬৫ টাকা হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসিরা। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
এনিয়ে সাদিকুল ইসলাম জানান, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ভোট করি। এতে হাতুড়ী প্রার্থীর পক্ষের আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া বেশ কয়েক দিন আগে আজাদ আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা ধার চাই। আমি তাকে টাকা ধার দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। এই দুটি আক্রোশে আমার ওপর চোরাগুপ্তা হামলা করে টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসি আজাদ ও সাঙ্গ-পাঙ্গরা বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অস্বিকার করে বলেন, রাতে কে বা কারা সাদিকুলকে মারধর করেছে। শত্রুতা মূলক প্রতিশোধ নিতে অন্যায়ভাবে লোকসমাজে তার নাম করা হচ্ছে বলে জানান আজাদ। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেছেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রমাণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।